সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১১৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার লিটন কুমার দাস। দ্বিতীয় ইনিংসেও দুর্দান্ত ব্যাট করছেন লিটন, এরই মধ্যে হাঁকিয়ে ফেলেছেন অর্ধশত।
প্রতিবেদন লেখার সময় বাংলাদেশের স্কোর ৭ উইকেটে ১৫৭ রান। ৮৭ বলে ৫৯ রানে ব্যাট করছেন লিটন। তার সঙ্গে রয়েছেন তাইজুল ইসলাম। প্রথম ইনিংসে ৪৪ রানে এগিয়ে থাকায় বাংলাদেশের লিড এখন ২০১ রান, হাতে আছে আরো ৩ উইকেট।
৬ উইকেটে ১১৫ রান নিয়ে লাঞ্চে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। লাঞ্চের পর সাজঘরে ফিরেছেন ইয়াসির আলীর কানকাশন বদলি হিসেবে নামা নুরুল হাসান। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ রান।
এর আগে, দিনের প্রথম ওভারেই হাসান আলীর বলে মুশফিকুর রহীমকে (১৬) হারালেও দুর্দান্ত ব্যাট করছিল মমিনুলবাহিনী। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৪৭ রান তুলেও ফেলেছিল অভিষিক্ত ইয়াসির আলী রাব্বি ও লিটন দাসের জুটি। তবে আউট না হয়েও মাঠ ছাড়তে হয়েছে রাব্বিকে।
দলীয় রান তখন ৫ উইকেটে ৯০, বাংলাদেশ ইনিংসের ৩০তম ওভারের পঞ্চম বলটি শট লেন্থে করেছিলেন পাক পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। প্রচণ্ড গতির বলটিকে ডাক করে মাথার ওপর দিয়ে চলে যেতে দিয়েছিলেন রাব্বি। কিন্তু কিন্তু বলটি আঘাত হানে রাব্বির হেলমেটে, চোখের কোনের কাছে।
সঙ্গে সঙ্গে দলীয় চিকিৎসক এসে রাব্বিকে শশ্রুষা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর শাহিনের ওভারের শেষ বলটিও মোকাবেলা করেন রাব্বি। পরের ওভারটি করতে আসেন স্পিনার নৌমান আলি।
নৌমানের পুরো ওভারটাও খেলেন ইয়াসির আলী। কিন্তু মাথার যন্ত্রণায় আর টিকতে না পেরে শেষ পর্যন্ত মাঠের বাইরেই চলে যেতে বাধ্য হন তিনি। এ সময় তার ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছিল ৩৪। রাব্বির মাঠ ছাড়ায় ব্যাট করতে নামেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ১১ রান করে বিদায় নেন মিরাজ।
উল্লেখ্য, লিটন দাসের ১১৪ ও মুশফিকের ৯১ রানের সুবাদে প্রথম ইনিংসে ৩৩০ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। এরপর তাইজুল ইসলামের দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে ২৮৬ রানে অলআউট করে ৪৪ রানের লিড নেয় টাইগাররা।
0 মন্তব্যসমূহ